জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের আগস্টে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আত্মপ্রকাশ করে দেশ গঠনের ভার নেয়। সেই সময় থেকেই এই সরকারের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা, যার প্রভাব দেখা যায় প্রতি মাসের প্রবাসী আয়ে। প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিকতা প্রতি মাসেই লক্ষ করা গেছে। আর এর মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড গড়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছর।
সদ্য বিদায় নেওয়া অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২৬.৮% বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন মোট ২৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, এক অর্থবছরের ব্যবধানে প্রেরিত রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার।
বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস অর্থাৎ জুনে মোট ২.৮১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গতবছর একই সময়ের তুলনায় ১১% বেশি। ২০২৪ সালে জুন মাসে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার।
অর্থবছরের হিসাবে রেকর্ড রেমিট্যান্সের পাশাপাশি মাসিক হিসাবে এবছরের মার্চে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
ঈদ-উল ফিতরকে কেন্দ্র করে বিদায়ী অর্থবছরের মার্চে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স এসেছে, যা শুধু এ অর্থবছরের জন্য নয়, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ব্যাংক এবং আর্থিক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, হুন্ডির বদলে প্রবাসীদের মধ্যে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানোর প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এজন্যই রেমিট্যান্সের প্রবাহ উর্ধ্বমুখী।
রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ বজায় থাকলে রিজার্ভের ওপরে চাপ কমবে এবং আমদানি ব্যয় মেটানো সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।