মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে চাঁদাবাজির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগের উপ কমিশনার জসীম উদ্দিন।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এই হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
জসীম উদ্দিন বলেন, পারস্পরিক ব্যবসায়িক দ্বন্ধের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড। আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত সোহাগ ও হত্যার সাথে জড়িত আসামিরা একসাথেই ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন। শুধুই কি ব্যবসা, নাকি সোহাগের আগের কোনো কার্যক্রম ছিলো তারও তদন্ত করছে পুলিশ।
তিনি জানান, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ভিডিও ও সাক্ষীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নিজ দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে। হত্যাকাণ্ডের সময় ইট, রড ও কংক্রিট দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করা হয় এবং শরীরের ওপর লাফিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।