1. info@www.fnnews24.com : এফ এন নিউজ ২৪ :

এফ এন নিউজ ২৪

রাজনীতি নয়, অতীত কর্মকাণ্ড ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগ হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

রাজনীতি নয় বরং ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যার শিকার হয়েছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯)। এমনটা মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংসবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি।

এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সোহাগ আগের সরকারের আমলে হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের (অ্যালুমিনিয়ামের) ব্যবসা করতেন। চোরাই তার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তারা বিক্রি করতেন, যেখানে অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি পাতিল কড়াই তৈরি হয়। গত ১৭ বছর সোহাগ এই কাজ করে এসেছেন। এর মধ্যে আরেকটা গ্রুপ এই ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। তখন তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক বিভেদ তৈরি হয়। তারা একই এলাকার এবং পূর্ব পরিচিত। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা বা সরকারকে বেকায়দায় ফেলা বা অন্য কোনো উদ্দেশে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। পুলিশ তদন্তে এরকম কিছু পায়নি। এটা ছিল ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আমরা এ ঘটনায় মর্মাহত, গভীরভাবে শোকাহত।

তিনি ঘটনায় পুলিশি কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ঘটনা চলাকালে ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে চকবাজার থানার ওসি চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরওয়ার ঘটনার কয়েক মিনিট পরেই সেখানে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে মব সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা চাঁদাবাজদের জায়গা নাই স্লোগান দিচ্ছিল।

এ অবস্থায় চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সারোয়ার ঘটনাস্থল থেকে মাহবুব ও মহিনকে আটক করে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৯।

ভুক্তভোগী সোহাগকে পাথর নিক্ষেপকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গেলেও সেসময় তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশের বিশেষ টিমের সহায়তায় তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পটুয়াখালী থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম রেজওয়ান উদ্দিন অভি। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন বসু, মায়ের নাম বিউটি দেব মিলা। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি দাবি করেন, এ ঘটনায় দায়ের করা এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো মামলার এজাহার দায়ের করার জন্য প্রথমে তার সাবেক স্ত্রী লাকি আক্তার থানায় আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিকটিমের সৎ ভাই রনিও থানায় আসেন। তারা নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে খসড়া এজাহার প্রস্তুত করেন।

একটু পরে ভিকটিমের আপন বড় বোন মঞ্জুআরা বেগম (বর্তমান মামলার বাদী) থানায় উপস্থিত হয়ে মামলার এজাহার দায়েরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখন আগের খসড়া এজাহার উপস্থাপন করা হয়। এ সময় বাদীর মেয়ে খসড়া এজাহারের কপির ছবি তুলে রাখেন, যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

ওই খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে একজনের নাম সংযোজন করে মোট ১৯ জনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেন সোহাগের বোন মঞ্জুআরা। তার লিখিত এজাহারের ভিত্তিতেই কোতয়ালী থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

তিনি জানান, যে কোনো ঘটনায় এজাহার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র। এজাহারে উল্লিখিত ঘটনার তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে।

ডিএমপি কমিশনার সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত নারকীয় উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আশা প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার।

জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কমিশনার বলেন, যেকোনো ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। যেকোনো নাগরিক কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী বা নেতা হতে পারেন। তবে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট