রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট ও শপিংমলগুলো খোলা থাকে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে অক্সিলিয়ারি পুলিশ ফোর্স নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা অক্সিলিয়ারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন। তাদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও থাকবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ ৭ রমজান চলছে। সন্ধ্যা হলে ঢাকাবাসী মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা তারাবির নামাজের সময় যায়। ওই সময় ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবির নামাজে থাকেন। এই সময় আপনাদের বাড়ির ফ্ল্যাট ও দোকান সযত্নে রেখে আসতে হবে। নিরাপত্তা খেয়াল করবেন। আশা করছি ১৫ রমজান থেকে ঢাকাবাসীর অনেকেই ঈদ উপলক্ষে গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাবেন।”
আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই এবং অনুরোধ করতে চাই, যখন আপনারা বাড়ি যাবেন, তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করবেন উল্লেখ করে সাজ্জাত আলী বলেন, “আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাদের পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। অনেকেই ছুটিতে যাবে বা যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকেন, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকেন, তাদের পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।”
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিং মল ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন অনুযায়ী অক্সিলিয়ারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগের ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা অনুযায়ী আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলিয়ারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে, যাতে লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা। আইন অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার যেভাবে আইনগতভাবে প্রটেকশন পান, এই অক্সিলিয়ারি ফোর্সের সদস্যরাও সেই প্রটেকশন পাবেন।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম, মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম ও রমনার ডিসি মাসুদ আলম।