রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ডিএনএ টেস্টে ৫ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
গত সোমবার (২১ জুলাই) উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পরদিন (মঙ্গলবার) সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা ঢাকা সিএমএইচে রক্ষিত অশনাক্ত মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে। এই নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করে মোট ৫ জন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে সংগৃহীত এই নমুনাগুলো থেকে প্রস্তুতকৃত প্রোফাইল ও ঘটনার পর থেকে বুধবার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত ৫টি পরিবারের মোট ১১ জন সদস্যের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে ৫টি মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পরিচয় শনাক্ত হওয়া পাঁচজন হলেন- মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির মেয়ে ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, মো. বাবুল ও মাজেদা দম্পতির মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া, মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তার দম্পতির মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া, মো. শাহাবুল শেখ ও মিসেস মিম দম্পতির মেয়ে রাইসা মনি এবং আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির মেয়ে মারিয়াম উম্মে আফিয়া।
এদিকে মাইলস্টোন ট্রাজেডির ঘটনায় আহত আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহাতাব উদ্দিন ভুইয়া (১৩) নামের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ও আহতদের নাম প্রকাশ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৯ জন। আর আহতদের মধ্যে ৫৭ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।