২০২৪ সালের ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আহত হওয়া শিক্ষার্থীদের পাশে মানবিকভাবে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান। ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত (জুলাই ২০২৫), প্রায় প্রতি শনিবারই সেনাপ্রধান ঢাকা সিএমএইচে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নিচ্ছেন—এমন তথ্য জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
রবিবার (২৭ জুলাই) সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “সবাইকে কয়েকটা আনপপুলার তথ্য দেই। ৫ আগস্টের পর থেকে আজ অব্দি কিছু ব্যতিক্রম বাদে প্রত্যেক শনিবার সেনাপ্রধান সিএমএইচে গিয়েছেন সেখানে ভর্তি থাকা জুলাই আহতদের দেখতে। যেটা সকল উপদেষ্টাদের মোট ভিজিট কম্বাইন্ড করলে তার চেয়ে বেশি হবে।”
তিনি আরও জানান, “সবচেয়ে গুরুতর আহতদের মানসম্পন্ন চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং চিকিৎসা ব্যয়ে ব্যক্তিপ্রতি সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে সিএমএইচেই। এছাড়া আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসনে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের ভূমিকা ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর পরেই সবচেয়ে কার্যকর।”
এই তথ্যগুলো সামনে আসার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, সবার অগোচরে নিয়মিত এই মানবিক দায়িত্ব পালন সেনাপ্রধানের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তুলেছে। কেউ কেউ আবার রাজনৈতিক নেতৃত্বের উদাসীনতার বিপরীতে সেনাবাহিনীর এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
জুলাই আন্দোলনের চেতনায় যারা এখনও লড়ছেন, তাদের অনুপ্রেরণার একটি স্থায়ী উৎস হয়ে উঠেছেন এই নিরব, মানবিক সহায়তাগুলো।