হবিগঞ্জে অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছে চা বাগানগুলো। আর এতে করে নতুন এই বছরে এখনো চা পাতা না আসায় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। একদিকে যেমন প্রকৃতিকভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না অন্যদিকে আবার বাগানের ভেতর থাকা ছোট ছোট ছড়া ও জলাশয়গুলো শুকিয়ে গেছে যে কারণে বাগানে বাগানে পানির জন্য সৃষ্টি হয়েছে হাহাকার।
জানা যায়, জেলার ৪টি উপজেলায় চা বাগান রয়েছে মোট ৩৪ টি। এসব বাগানে প্রতি হেক্টর জমিতে ২২০০-২৫০০ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। প্রতি বছর মার্চ মাস থেকে শুরু হয় চা পাতা উত্তোলন। তবে এ বছর শুরু থেকেই দেখা নেই বৃষ্টির। এখন যেই সময়টাতে বাগানে বাগানে সবুজ কুড়ির সমারোহ থাকার কথা সেখানে নেই নতুন কুড়ির প্রভাব। খরার কারণে বড় পাতাগুলোও মরে যাচ্ছে। বাগানে থাকা ছড়া ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সেচ দিতে পারছেন না বাগান মালিকরা।
তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসূফ খান জানান, অনাবৃষ্টির কারণে চা উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দিন দিন লোকসানের পাল্লা ভারী হবে।
এ বিষয়ে চন্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. সেলিমুর রহমান জানান, গতবছর খরা ও শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারণে বাগানগুলোতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদন কম হয়। এ বছর ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পাড়ে। তবে বৃষ্টিপাত হলে ক্ষতির পরিমান হয়তো কিছুটা কমে আসবে।