সপ্তাহজুড়ে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান। যদিও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তা সোমবার বিকেলে খোলার কথা ছিল, তবে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।
হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বাঘাইছড়ি, লংগদু উপজেলার বেশকিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাঙামাটি সদরের শান্তি নগর এলাকার বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলী জানান, আমার ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে আর ঘরে থাকা যাবে না। কাপ্তাই বাঁধ খুলে না দিলে এই এলাকার প্রায় সবাই অসুবিধার মধ্যে পড়ে যাবে। সরকার আমাদের দিকে নজর দিবে এটাই কামনা করি।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান আরও জানিয়েছেন, সকালে কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল ১০৭.৪৯ ফুট (মীন সি লেভেল)। হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট হলেও বাঁধের বয়সের কারণে ১০৭ এর বেশি হলে এটিকে বিপৎসীমা ধরা হয়। কাপ্তাই লেকে পানি উচ্চতা বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হবে।
একই সঙ্গে কেন্দ্রে পাঁচটি ইউনিট হতে সর্বমোট ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে লেকের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিল ওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।